কোন প্লাটফর্ম ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরুর জন্য ভাল হবে-২০২১।

কোন প্লাটফর্ম ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরুর জন্য ভাল হবে?

Date-26july2021.

কোন প্লাটফর্ম ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরুর জন্য ভাল হবে-২০২১।


কোন প্ল্যাটফর্ম ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরুর জন্য ভাল হবে?

নতুনদের জন্য ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরীতে কোন প্লাটফর্ম ভাল হবে? 

নতুন অবস্থায় html, javascript, css, php, mysql সহ অন্যান্য বিষয়ে বিশদ না জেনে কোন কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (ব্লগার অথবা ওয়াডপ্রেস) কাজ করা উচিত? এসব বিষয়ে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর ধাপে ধাপে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করব।


Blogging ideas for beginners. যাদের লেখালেখি করার অভ্যাস আছে তারা চাইলে অনলাইনে কন্টেন্ট লিখতে পারে। যেটি প্রকাশ হওয়ার পর সারা বিশ্বের যে কেউ গুগলে সার্চ করে অনলাইনে পড়ার সুযোগ পায়। বর্তমান সময়ে অনেকে অনলাইনে বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় বিভিন্ন রকম লিখা বা কন্টেন্ট পাবলিশ করছে। 

কন্টেন্ট লিখে প্রকাশ করার জন্য দুইটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো ওয়াডপ্রেস ও ব্লগার। যে কেউ এই দুইটির একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরী করে নিজের ইচ্ছামত কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করতে পারে। 

প্রথমে বলে রাখি আমি কোন প্রযুক্তিবিদ নই কিংবা আমার ওয়েবসাইটি প্রযুক্তি বিষয়ক নয়। 

শুধুমাত্র আমি আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরীতে কি কি সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি ? 

কিভাবে সেসব সমস্যার সমাধন করেছি ? 

আমি বর্তমানে কোন প্লাটফর্মে লেখালেখির কাজ করছি ? ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নতুনদের জন্য ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করছি। 


আমি অনেকদিন যাবৎ ফেসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট লিখে শেয়ার করতাম। ফেসবুকে কন্টেন্ট লিখার সুবাদে এবং ইউটিউবের কল্যাণে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরী সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা জন্মে। অনেকের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট দেখে আমার একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরী করার ইচ্ছা জাগে। 

তাই ইউটিউবে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরীর বিষয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখতে শুরু করলাম এবং গুগলে সার্চ দিয়ে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরীর বিষয়ে তথ্য নিতে থাকলাম। একপর্যায়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বিনা পুঁজিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করব। তাই আমি ব্লগার প্লাটফর্মকে (blogger.com) বা ব্লগার কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে (Content management system or CMS) বেছে নিলাম। 

ইউটিউবের ভিডিও দেখে ব্লগার প্লাটফর্মে (blogger.com) .ব্লগস্পট.কম ফ্রি ডোমেইন ও হোস্টিং দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করি এবং প্রায় দের হাজার টাকায় একটি কাস্টম থিম ক্রয় করে আমার ওয়েবসাইটিকে সাজালাম। ওয়েবসাইট তৈরী করার পর প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে শুরু করলাম। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন ওয়েবসাইট হিসাবে মোটামুটি ভাল ভিউ হচ্ছিল। ভাল ভিউ হওয়ার ফলে কন্টেন্ট লিখতে আরো উৎসাহিত হলাম। 

ওয়েবসাইটি তৈরী করার পর মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছিলাম না। কারণ আমার ডোমেইনের নাম হল myname.blogspot.com। তাই আমি ডোমেইন থেকে ব্লগস্পট (blogspot) লিখাটি বাদ দিয়ে কাস্টম ডোমেইন সেট করতে কিছু টাকা বিনিয়োগ (Invest) করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাস্টম ডোমেইন ক্রয় করব ? 

সেটা নিয়ে চিন্তায় পরে গেলেম। কেউ বলে এটা ভাল, কেউ বলে ওটা ভাল। আবার অনেকে সস্তায় বা হোস্টিং নিলে ডোমেইন ফ্রি ইত্যাদি লোভনীয় অফার দিতে থাকে। আবার অনেক ইউটিউবার সতর্ক করে ডোমেইন কন্ট্রোল না দিলে ডোমেইনটি পরবর্তীতে এই হবে, সেই হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। 

কেন বিটিসিএল থেকে ডোমেইন নিবেন ?

এতসব চিন্তা করতে করতে এবং গুগলে সার্চ দিতে দিতে ডোমেইন হোস্টিং প্রদানকারী (Provider) দেশীয় ও সরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেলাম। কিন্তু কোন ইউটিউবার বা ব্লগারকে সেই প্রতিষ্ঠানের নামটি কখনো বলতে দেখলাম না বা শুনলাম না। সেই প্রতিষ্ঠানটি হল- বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড (Bangladesh Telecommunications Company Limited or BTCL)

বিটিসিএল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার পর বিটিসিএল থেকে একটি কাস্টম ডোমেইন কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানেও সমস্যা হলো; শুধুমাত্র আমার ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় বিটিসিএল থেকে myname.com.bd ডোমেইন কিনতে পারলাম না। তাই অনিচ্ছা স্বত্বেও myname.info.bd ডোমেইন কিনতে হলো। 

আমি বিটিসিএল থেকে ডোমেইন কেনার কারণ হল এটি একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। ডোমেইন এর শেষে .bd এক্সটেনশন বাংলাদেশের প্রতীক ও বাংলাদেশের আঞ্চলিকতা প্রকাশ পায়। 
সেজন্য দেশের একটি ব্র্যান্ড হিসাবে বিটিসিএল ডোমেইন বাছাই করলাম। আপনিও চাইলে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসায়িক .com.bd এক্সটেনশনে কিংবা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া .com.bd বাদে অন্য এক্সটেনশনে বিটিসিএল ডোমেইন নিতে পারবেন।
 
ডোমেইন কেনার পর ডোমেইনটি ব্লগারে সেট করার সময় পরলাম আরেক বিড়ম্বনায়। বিটিসিএল ডোমেইনে তিনটি domain name server (DNS) বা নেম সার্ভার বা সি-নেইম অপসন দিলেও ব্লগারের দেয়া ০৪টি এ-রেকর্ডস (A-Records) সেট করার কোন অপসন খুঁজে পেলাম না। 

এই সমস্যার জন্য বিটিসিএল এর প্রদত্ত কাস্টমার সাপোর্ট ইমেইলে মেইল করা হলে তারা বলল আপনি আমাদের নিকট ডোমেইন ক্রয় করেছেন হোস্টিং নয়। হোস্টিং নিলে এ-রেকর্ডস সেট করা যাবে। 

পুনরায় ইউটিউব, গুগল এবং ফেসবুক গ্রুপে কাস্টম ডোমেইন সেটআপ করার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলাম। একপর্যায়ে বিভিন্ন ভুলবাল তথ্য পেয়ে টেনশনের মাথায় বাংলাদেশের একটি কোম্পানী XeonBD থেকে এক বছরের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং ক্রয় করে ফেললাম। 

হোস্টিং কেনার পর হোস্টিং প্যানেলে গিয়ে আমার কাস্টম ডোমেইন সেট করার জন্য গুগলের দেয়া চারটি এ-রেকর্ডস যুক্ত (added) করলাম। 

তাতেও কোন কাজ হল না অর্থাৎ আমার কাস্টম ডোমেইনটি সেট করা হলো না। কারণ ব্লগারে হোস্টিং গুগলের দেয়া থাকে। তাই কাজ হচ্ছে না। আমার ভুল হয়েছে, না জানা এবং যাদের সাহায্য চাইলাম তাদের পূর্ণাঙ্গ সহায়তা না পাওয়া এবং অনেকে আবার সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে ভুলবাল তথ্য দিয়ে থাকে।  

উল্টাপাল্টা সিন্ধান্তের কারনে অযথা হোস্টিং-এর টাকা গচ্ছা গেল। হোস্টিং এর টাকা গচ্ছা গেল কারণ ব্লগারে গুগলের ফ্রি হোস্টিং থাকে তাই ব্যক্তিগতভাবে হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হয় না।    

ক্লাউডফ্লেয়ার (cloudflare) কখন ব্যবহার করবেন? বা কেন ব্যবহার করবেন? 

যাইহোক আমিও হার মানার পাত্র নই। তাই আবারো ইউটিউব, গুগল এবং ফেসবুক গ্রুপে সমস্যা সমাধানের জন্য নিরন্তন চেষ্টা করতে থাকলাম। যারা ভুল তথ্য দিচ্ছে তাদের এড়িয়ে চললাম। 

একপর্যায়ে ফেসবুক গ্রুপে একজন শুভাকাঙ্খী ভাই আমার সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর সিদ্ধান্ত দিল আপনি ক্লাউডফ্লেয়ার (cloudflare) ব্যবহার করেন, ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন সেট করার কাজ হয়ে যাবে।

এরপর আমি ক্লাউডফ্লেয়ার (cloudflare) কিভাবে ব্যবহার করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিলাম। ক্লাউডফ্লেয়ার (cloudflare) ব্যবহার করে ব্লগারে আমার কাস্টম ডোমেইনটি খুব সহজেই সেট করি। 

ক্লাউডফ্লেয়ার (cloudflare) এ একটি একাউন্ট করার পর এটি ব্যবহার করে খুব সহজে ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন সেট করা যায়। এতে সি-নেইম, এ-রেকর্ড খুব সহজে যুক্ত করা যায়। 

যখন ব্লগারে আমার কাস্টম ডোমেইনটি সেট করি তখন অন্যরকম এক মানসিক পরিতৃপ্তি লাভ করি। কাস্টম ডোমেইনযুক্ত ওয়েবসাইটি দেখে আমার মনে খুবই প্রশান্তি পেলাম। এতকিছুর মধ্যে আমার কন্টেন্ট লিখা থেমে নেই। আমি প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট পাবলিশ করে যাচ্ছি এবং বেকলিংক থাকায় দৈনিক ভিউ ভালই হচ্ছিল। 

ইউটিউব ও গুগলে কোন প্লাটফর্মে কাজ করা ভাল কিংবা ওয়াডপ্রেস ভাল নাকি ব্লগার ভাল সেই বিষয়ে অসংখ্য ভিডিও ও কন্টেন্ট পাওয়া যায়। সেই ইউটিউব ভিডিও ও কন্টেন্ট দেখলাম। সেখানে অনেকে বলছে ওয়াডপ্রেস ভাল আবার অনেকে বলছে ব্লগার ভাল। সেখানে অনেককে আর একটি কথা বলতে দেখা যায় সেটি হলো ব্লগারের কোন ভবিষ্যৎ নেই। ব্লগার ওয়েবসাইটে যেহেতু গুগলের হোস্টিং ব্যবহার করা হয় সেহেতু যেকোন সময় গুগল চাইলে ব্লগার ওয়েবসাইটি বন্ধ করে দিতে পারে। 

সেই কথা শুনে পরে গেলাম আরেক চিন্তায়। এতদিনের কষ্টে তৈরী করা ওয়েবসাইটি যদি গুগল বন্ধ করে দেয় তখন অনেক খারাপ লাগবে। অন্যদিকে ওয়াডপ্রেস এর মাধ্যমে তৈরী করা ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ মালিক আমি হব। এসব কথা শুনে ব্লগার থেকে ওয়াডপ্রেসে মুভ করার ইচ্ছা জাগল।

যেহেতু আমি প্রথম অবস্থায় হোস্টিং ক্রয় করি সেহেতু আর কোন টাকা বিনিয়োগ না করেই আমি ব্লগার থেকে ওয়াডপ্রেসে মুভ করতে পারি। 

একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম ব্লগার থেকে ওয়াডপ্রেসে চলেই যাব। যেই কথা সেই কাজ বেশ কয়েকটি ইউটিউবের উৎসাহপূর্ণ ভিডিও দেখে একপ্রকার লাফিয়ে লাফিয়ে আমার ওয়েবসাইটি ব্লগার থেকে ওয়াডপ্রেসে মুভ করে ফেললাম।

ওয়াডপ্রেসে ওয়েবসাইট মুভ করার পর ইউটিউব ভিডিও দেখে ফ্রি এ্যাসট্রা (Astra) থিম দিয়ে মোটামুটি ৭/৮ দিনের মাথায় একটি ওয়াডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেললাম। 

সমস্যা হলো কোথায় সেটি এবার বলি, ব্লগার থেকে ওয়েবসাইট ওয়াডপ্রেসে মুভ করে নতুন করে ওয়েবসাইট তৈরী করার পর দেখলাম একটু উনিশ-বিশ হলেই ওয়েবসাইটি ইরর দেখাচ্ছে ওপেন হচ্ছে না। 

আমার নিজের কাছেই যখন এই সমস্যা তাহলে ভিউয়ারদের কি অবস্থা সেটি বলি, আমার সাইটি পিসি বা ল্যাপটপে মোটামুটি চললেও মোবাইলের বেলায় লোডিং-এ বেশি সময় নিচ্ছে বা ইরর দেখাচ্ছে। ফলে আমার সাইটিতে দৈনিক ভিউয়ার সংখ্যা ৩০০-৬০০ থেকে শূণ্যের কোটায় নেমে গেল। 

ইতিমধ্যে আরো সমস্যা হলো ওয়াডপ্রেস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন এসইও (SEO), এএমপি (AMP) সহ অন্যান্য প্লাগিং যুক্ত করছি। আর এসব প্লাগিংস যুক্ত করার পর সেটিংস-এ একটু এদিক সেদিক হলেই সাথে সাথে ৪০৪, ৫০৩ ইত্যাদি ইরর দেখাচ্ছে। একটি ইরর ঠিক করার পর অন্য একটি ইরর যুক্ত হয়। ওয়েবসাইটে সৃষ্টি হওয়া ইররগুলি দূর করতে করতে আমার সময় শেষ। আমি জোড় গলায় বলতে পারি নতুন হলেও ব্লগারে ওয়েবসাইট পরিচালনায় কোন সময়ই এইরকম সমস্যায় পড়িনি।  

আমি যেহেতু চাকরিজীবি সেহেতু ব্লগিং আমার পেশা নয়, নেশা। হয়তো ভবিষ্যতে গুগলের মন চাইলে এডসেন্স দিবে, হয়তো দিবে না। যদি এডসেন্স দেয় তখন দেখা যাবে। চাকরির অবসরে নিজের অভিজ্ঞতা অন্যের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা নিয়ে অনলাইনে লেখালেখি করি। 

তাই ওয়াডপ্রেস সাইটি ঠিকমত চলছে কিনা ? 

কোন ইরর দেখাচ্ছে কিনা ? 

কোন প্লাগিং সমস্যা করছে কিনা ? 

মোবাইলে ঠিকমত চলছে কিনা ?

ইত্যাদি বিষয়ে এত টেনশন করার সময় আমার নেই। ওয়াডপ্রেসে আমার মত অনেকের এই অবস্থা হতে পারে। যারা ফুল টাইম কাজ করার মানসিকতা নিয়ে ব্লগিং পেশায় নিয়োজিত আছে তাদের বিষয়টি ভিন্ন।

এসব সমস্যার কারনে পুনরায় ওয়াডপ্রেস থেকে ব্লগারে বা ব্লগার কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content management system or CMS) -এ প্রত্যাবর্তন করলাম।

পুনরায় ব্লগারে ফিরার পর যেসব সমস্যায় পড়লাম তা হলো আমার বেশ কয়েকটি কন্টেন্ট গুগলের অনুসন্ধানে “পাওয়া যাচ্ছে না” এবং “ব্রোকেন লিংক” দেখাচ্ছে। পরবর্তীতে আমি এসব লিংক খুঁজে খুঁজে রিডাইরেক্ট করলাম কিছু ব্রোকেন লিংক google search console এর  রিমুভালে গিয়ে রিমুভের আবেদন করি।   

আমি ১০-১২ দিন ওয়াডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ইরর নিয়ে যেসব টেনশন করেছি এবং ইরর সমাধানে সময় দিয়েছি ৫/৬ মাসের ব্লগার CMS-এ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তার বিন্দু পরিমাণ টেনশন করিনি। 

যেহেতু ব্লগারে ওয়েবসাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সাইট স্পীড, সাইটের নিরাপত্তা, সার্ভারসহ অন্যান্য বিষয় ব্লগার তথা গুগল খুবই নিখুঁতভাবে ব্যবস্থাপনা করছে সেহেতু নতুন অবস্থায় কিংবা html, javascript, css, php, mysql সহ অন্যান্য বিষয়ে বিশদ না জেনে ওয়াডপ্রেসে না যাওয়াই ভাল বলে আমি মনে করি। 

তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে নতুনদের জন্য (যারা html, javascript, css, php, mysql অনভিজ্ঞ) ব্লগার প্লাটফর্মে (blogger.com) ওয়েবসাইট পরিচালনা যুক্তিযুক্ত বলে আমার মনে হয়। 

ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ওয়াডপ্রেসে মুভ করা ভাল বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

ভিন্ন প্রসঙ্গ- আমি একটি বিষয় মানি, যার যার অবস্থানে সে সে উত্তম। কারো বিষয় নিয়ে অন্য কারো সাথে তুলনা করার চাইতে, যার যার অবস্থানে তার তার ভাল দিকগুলির কথা বিবেচনায় আনা উচিত।

#পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

ধন্যবাদ। 

Comments

  1. Blogging ইন্টারফেস, ব্লগিং বডি, বা ব্লগিং টেমপ্লেট বা ব্লগিং theme যাই বলি না কেন.. এটা চেঞ্জ করে ভালো একটা থিম লাগাবো কি করে..??? ব্লগে যে থিম গুলো আছে সেগুলো আমার ভালো লাগে না...!! ভালো theme কোথায় পাবো..???

    আমার থিম দেখলে বুঝতে পারবেন
    provas98.blogspot.com

    ReplyDelete
    Replies
    1. থিমফরেস্ট সহ অনেক সাইট আছে যেগুলি ব্লগারের টেম্পলেট বিক্রয় করে। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে আমার মত অডিনারী আইটি থিমটি নিতে পারেন।
      থিম সেট করা কোন কঠিন কিছু না। ব্লগার ড্যাসবোর্ড থেকে থিম অপসনে গিয়ে থিম আপলোড বা html কোড দিলে হয়ে যাবে।

      Delete
  2. খুবই সুন্দর। আপনার লেখাটি নতুন ব্লগারদের জন্য সহায়ক হবে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কি জেনে রাখুন।

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারে সচেতনতা ও করণীয় কি।

মহামঙ্গল সূত্র পালি থেকে বাংলা-২০২১।