বৌদ্ধধর্মে উপেক্ষা মানে কি।
উপেক্ষা কি ? আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।
লৌকিক ব্যবহার উপেক্ষাঃ-
অনেকেই নিজের মত না হলে উপেক্ষাকে ব্যবহার করে। তার মানে তাকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান করা মনে করে। ধর্মের উপেক্ষা সে রকম নয়।
ব্রহ্মবিহার উপেক্ষাঃ-
মৈত্রী-করুণা-মুদিতার চেয়ে এ উপেক্ষা উত্তম। নিন্দা করলেও মনের কষ্ট করে না। প্রশংসা করলেও খুশি হয় না। এটিকে ব্রহ্মবিহার উপেক্ষা বলে। মানেই নিন্দা-প্রশংসার মধ্যস্থতা চিত্তকে উপেক্ষা বলে।
ধ্যান উপেক্ষাঃ-
১ম ২য় ৩য় ৪র্থ রূপবচর ধ্যানচিত্তের চেয়ে অরূপাবচর ধ্যানচিত্ত উত্তম। এজন্যে অরূপাবচর ধ্যান অনুশীলনের জন্য রূপবচর ধ্যানচিত্তকে উপেক্ষা করে যায়।
বিদর্শনের সংস্কার উপেক্ষা জ্ঞানঃ-
উদয়ব্যয়, অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম লক্ষণ জড়িত সুখ-দুঃখের দোষযুক্ত নাম-রূপ সংস্কারধর্মকে বিমুখ হয়ে লোকোত্তর মার্গফলকে উপলব্ধির উপেক্ষা জ্ঞান।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-
উপমাঃ রাজাকে প্রজা নিন্দা করে। মন্ত্রী শুনে রাজাকে এ কথা বলে দেন। রাজা মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন- অন্ধকারে কিছু দেখা যাই কিনা?
মন্ত্রী উত্তরে বললেন- না। রাজা মন্ত্রীকে বললেন- এজন্যেই তো মন্ত্রীর মনে কষ্ট পায়।
শুন মন্ত্রী! অন্ধকারে কালো হলেও দেখা যাই কিন্তু উপেক্ষা চিত্তে কোনকিছু দেখে না। নিন্দা প্রশংসার উর্ধ্বে মনে রেখো।
"ফুট্ঠস্স লোকধম্মেহি চিত্তং যস্স ন কম্পতি"
সবার হিত সুখ মঙ্গল হোক।
লেখক-
স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য
ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
Comments
Post a Comment