হঠাৎ একদিন বেড়িবাঁধ ভ্রমণ।

হঠাৎ একদিন বেড়িবাঁধ ভ্রমণ। বেড়িবাঁধ, চট্টগ্রাম যা পতেঙ্গা সীবিচ সংলগ্ন উত্তর দিকে। New tourist spot north of Patenga ‍sea beach.

হঠাৎ একদিন বেড়িবাঁধ ভ্রমণ।


আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি পতেঙ্গা সীবিচ এর অদূরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আরো একটি নির্মাণাধীন অপূর্ব পর্যটন স্পট। যা আকমল আলী রোড বেড়িবাঁধ নামেও পরিচিত। এটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে কিছুটা উত্তর দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের শেষ মাথায় অবস্থিত।

সৌভাগ্যক্রমে প্রথমবারের মত হঠাৎ একদিন বেড়ীবাঁধ এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজে উপভোগের পাশাপাশি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনিও চাইলে বেড়িবাঁধ ভ্রমণ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এখানে দেখার মত কি আছে ?

এই বেড়িবাঁধটি পতেঙ্গা সীবিচ থেকে হালিশহর পর্যন্ত বড় একটি প্রজেক্ট নিয়ে নান্দনিক রূপে তৈরী করা হচ্ছে। বেড়িবাঁধ উপর সুপ্রসস্থ লিংক রোড তৈরী করা হয়েছে। যা ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাগড়পাড় দেখার জন্য ভিড় জমায়।

এখানে হাজার হাজার জেলেদের মাছ ধরার ছোটবড় নৌকা, মাঝারী জাহাজ, ট্রলার দেখতে পাবেন। পাশাপাশি জেলেদের জীবনযাত্রা, সাগড়পাড় ঘেষা মাছের আড়ৎ এবং ভাটার সময় অনেক কাছ থেকে সাগড়পাড় দেখা যায়। যেখানে সাগর এবং আকাশের বিশালতা এবং মিতালীতে এক অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

এখানে কি কি পাওয়া যায় ?

এটি সাগড় পাড় হওয়ায় এখানে অসংখ্য জেলে ও মাছের আড়ৎ রয়েছে। এই সাগড়পাড়ে থাকা জেলেরা সাগর হতে তুলে আনা বিভিন্ন প্রজাতির তরতাজা সাগরের মাছ খুচরা বিক্রি করে। এখানে থাকা মাছের আড়ৎদাররা পাইকারীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির সাগরের মাছ বিক্রয় করে। আপনি চাইলে প্রতিদিন বিকেলে সাগর থেকে তুলে আনা তরতাজা রূপালী ইলিশ মাছ সহ অন্যান্য সাগরের মাছ জেলেদের নিকট খুচরা হিসাবে ক্রয় করতে পারবেন।

কিভাবে ও কখন যাবেন ?

চট্টগ্রাম মহানগরীতে থেকে পতেঙ্গা সীবিচ বা চট্টগ্রাম বিমান বন্দর যাওয়ার পথে সিমেন্ট ক্রসিং মোড়ের আগে ডান পাশে থাকা আকমল আলী রোড দিয়ে এই বেড়িবাঁধ ভ্রমণ করতে পারবেন। আকমল আলী রোডটি সরু হওয়ায় যাওয়ার সময় যানজট সৃষ্টি হতে পারে।

অথবা চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর হয়ে আনন্দবাজার সংলগ্ন সুপ্রসস্থ নতুন লিংক রোড দিয়ে সহজে বেড়িবাঁধ এবং তৎপরবর্তী সীবিচ ভ্রমণ করতে পারবেন।

এই বেড়িবাঁধে বিকেল বেলা ও সন্ধ্যা বেলা ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা খুবই মজার। বিকেল বেলা সাগরের বিশালতা ও মনোমুগ্ধ হাওয়া বেশ মজার। সন্ধ্যা বেলায় সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে গোঁধূলি লগ্নে হাওয়ার তালে সাগরের ঢেউয়ের ঝাপ্টার শব্দের সাথে জেলেদের নৌকায় জ্বালানো বাতির মিট মিট আলো এবং গোঁধূলির আকাশ দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থী মানুষের কোলাহল কমতে থাকে। এসময় নিস্তব্ধ পরিবেশে সাগর পাড়ে খুবই মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

#পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন।

ধন্যবাদ।


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কি জেনে রাখুন।

মহামঙ্গল সূত্র পালি থেকে বাংলা-২০২১।

নাগরিক পরিচিতি ফরম কেন প্রয়োজন।