সহম্পতি ব্রহ্মা চতুরার্য্যসত্য প্রকাশের জন্য প্রার্থনা।
সহম্পতি ব্রহ্মা চতুরার্য্যসত্য প্রকাশের জন্য প্রার্থনা সম্পর্কে দেশনা করেছেন ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।
কশ্যপ বুদ্ধের শাসনে প্রথম ধ্যান লাভী 'সহক' নামক ভিক্ষু প্রয়ান হলে প্রথম ধ্যানভুমি ব্রহ্মলোকে সহম্পতি নামে উৎপন্ন হন। সেই সহম্পতি ব্রহ্মা বুদ্ধের মনোভাবকে জেনে- ওহে সত্ত্বগণ!
এ লোকজগত অনর্থক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলে উচ্চস্বরে দেব ব্রহ্মাগণকে আহ্বান করে বুদ্ধের সমক্ষে এসে রত্নমালার দ্বারা পূজা করতঃ গুণের অতুলণীয়, ভাগ্যের সৌভাগ্য, অনুত্তর পুরুষোত্তম ত্রিলোকে দীপ্ত বুদ্ধ আপনি ধর্মভেরি বাজিয়ে দেন। সত্ত্বগণের দুঃখমুক্তির জন্য নিজের সার্থ ত্যাগ করে আপনি পারমী পূরণ করেছিলেন।
সুমেধ জন্ম থেকে আমি সংসার থেকে মুক্ত হলে আমার সাথে সত্ত্বগণকেও সংসার থেকে মুক্ত করব। আমি চার সত্যজ্ঞান লাভ করলে সত্ত্বগণকেও চার আর্যসত্য জ্ঞান প্রকাশ করব বলে বলেছিলেন।
সর্বজ্ঞ বুদ্ধ আপনি ধর্মদেশনা না করলে কে জগতে উৎপন্ন হয়ে দেশনা করবেন। বুদ্ধ ! বর্তমানে ভানধরা স্বঘোষিত মগধজাত তির্থিক পরিব্রাজকরা মিথ্যার পথ দেখিয়ে অপায় দরজা খুলে নির্বানের পথ বন্ধ করে ফেলেছে। বুদ্ধ আপনি সত্ত্বগণের প্রতি অনুকম্পা করে সেই অপায়ের দরজাকে বন্ধ করে দেন।
দেব মনুষ্য ও নির্বান পথকে সহসা খুলে দেন। অল্পক্লেশ মুক্তির পথ সন্ধানী এরুপ পুরুষ মিলবে। মুক্তি সন্ধানী সত্ত্বদের মাঝে ধর্মবারি বর্ষণ করার জন্য প্রার্থনা করছি।
বুদ্ধ সহম্পতি ব্রহ্মার প্রার্থনা ৩-বার পর্যন্ত অসম্মতি জানালেও পুনর্বার প্রার্থনা করলে ধর্মদেশনা করার সম্মতি প্রকাশ করলেন। অতপর সহম্পতি ব্রহ্মাও সম্মতি গ্রহণ প্রতিজ্ঞান পেয়ে খুশি হয়ে করজোড়ে বন্দনা করার পর ব্রহ্মলোকে ফিরে গেলেন। সবার হিত সুখ মঙ্গল হোক।
লেখক-
স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য
ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের
বেতবুনিয়া কেন্দ্রিয় বিহার, কাউখালী
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
Comments
Post a Comment