নিজেকে ভরসা করে গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়া।
নিজেকে ভরসা করে গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়া আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।
নিজের উপর নির্ভর করে গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়া উচিতঃ-
সমস্ত কায়িক মানসিক অশান্তি ও অশান্তির কারণ শান্ত হয় বলে নির্বান।
আনন্দ! যা কিছু উৎপন্ন হয় তা সবকিছু সময় হলে ধ্বংস হয়।
বয়সে ছোট বড় আসল মাপ নয় আসল মাপ হল আচার আচরণ বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান প্রজ্ঞা।
কামসুখ কেবল মানুষই ভোগ করে তা না। সত্ত্ববাস ১১টি কামভূমিতে- গরু, ছাগল, মহিষ, কুকুর, শুকর, কীট পতঙ্গ ইত্যাদি সত্ত্বরাও এ কামসুখকে ভোগ করে। কিন্তু অমৃত রসের আস্বাদ যার তার ভাগ্যে হয় না, এ অমৃত রসের আস্বাদ সৌভাগ্য হয় কেবল এ মর্ত্যলোকে বুদ্ধের ধর্মোপদেশ সাক্ষাতে।
মানুষ অল্প বয়সে মারা যায় অতীতে প্রাণীহত্যা কৃত পাপকর্মের কারণে। তাই প্রাণীহত্যা না করা নিজের জন্য নিরোগ দীর্ঘায়ুর হিত সুখকর।
বুদ্ধ কেবল সু-ব্যাখ্যাত ধর্মের পথ প্রদর্শক। জগতে দৃষ্টিভ্রষ্ট চিত্তকে গতিরোধ করা কারো'র সাধ্য নেই। এমনকি বুদ্ধেরও নেই। সত্য উপলব্ধির ক্লেশোপশমের মার্গজ্ঞানই চিত্তের অপায়গতি রোধ করতে পারে।
সংসার বিচরণকারী পরিচিতিঃ
জনক পিতার নাম- অবিদ্যা। জননীর মাতার নাম- তৃষ্ণা। পাঁচ ভাইবোন- পঞ্চস্কন্ধ। যোগ্যতা- প্রমাদ পৃথকজন। অভিজ্ঞতা- ৩১লোকভূমি বিচরণ। কামনা বাসনা- ৬টি আলম্বন। ঠিকানা- মর্ত্যলোক। লক্ষ্য গন্তব্য- নাই। অল্প যে কজনের থাকতে পারে।
বিশ্বাস করা সহজ কিন্তু স্বয়ং উপলব্ধি করা অত্যন্ত কঠিন। বৌদ্ধধর্ম বিশ্বাস প্রধান ধর্ম নয়। স্বয়ং উপলব্ধির প্রধান ধর্ম।
পারমী না থাকলে দান শীল ভাবনা পুণ্যকর্ম করা। এতে পারমী পূরণ হয়ে থাকে। পূরণ করা পারমী পূর্ণ বা পরিপক্ক হলে লোকোত্তর জ্ঞান উদয় হয়।
জ্ঞানই নিজের মুক্তি দাতা। এটি বুদ্ধের পরম শিক্ষা। এ শিক্ষাকে কেউ কেউ অযুক্তি মনে করে পছন্দ করে না।বুদ্ধ ধর্মের রক্ষাকর্তা সৃষ্টিকর্তা নাই তাই পছন্দ করে না। পছন্দ না করলেও করার কিছু নেই। কিন্তু এটাই বাস্তবিক প্রকৃতির নিয়ম। নিজেই নিজের মুক্তি দাতা। পরের আশা বসে না থেকেই নিজের পুণ্য চেতনাকে পূঁজি করে গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। সবার হিত সুখ মঙ্গল হোক।
Comments
Post a Comment