সমস্যা তৈরি করলে মনের অশান্তি হয়।
সমস্যা তৈরি করলে মনের অশান্তি হয় দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।
জীবনে খাবারের অভাবে কষ্ট, কাপড় চোপড়ের অভাবে কষ্ট, থাকার অভাবে কষ্টের মধ্যেও মানুষ সুখ-শান্তি হাসি-খুশি স্বস্তি-সুখে থাকে। কিন্তু অনেকেই খাবার, কাপড় চোপড়, থাকার জায়গা, গাড়ি, বাড়ি টাকা পয়সা থাকার সত্ত্বেও তাদের কোন সুখ শান্তি নেই এমন মানুষও দেখা মিলে।
আমিও মনের কষ্টে খুবই অশান্তিতে আছি। কে কষ্ট দেয়? নিজের মন নিজেকে কষ্ট দেয়। নিজের চিত্তকে সুখ শান্তিতে রাখতে না জানার কারণেই এ অশান্তি হয়। জীবনে যে চিত্তকে সুখে রাখতে জানে সে সুখশান্তিতে থাকে। জ্ঞান থাকলে তো আরো বেশি বেশি সুখ শান্তিতে থাকতে পারে। অজ্ঞ শতবর্ষ আয়ু নিয়ে বেঁচে থাকলেও তার বাঁচার কোন মানেই হয় না। জ্ঞানী একদিন বেঁচে থাকলে সার্থক।
মানুষ মনের সুখশান্তিতে থাকার জন্য কতকিছু করে। যে যতকিছু করুক না মানসিক সুখশান্তি পায় না। কিয়ৎ যতটুকু পায় সেটিও সাময়িক স্বস্তির পরে আর থাকে না। কেন? নানা সমস্যা উপস্থিত হলে মনের সেই সুখ পাখিটি উড়ে যায়।
অনেক সময় সমস্যা একটি যেতে না যেতে আরেকটি উপস্থিত হলে আর কোন এ সুখশান্তি থাকে না। সমস্যা তো জাগতিক ধর্ম। মানুষের জীবনে কোন না কোন সমস্যা তো লেগেই থাকে যেহেতু মনের মধ্যে চাহিদার স্বভাব থাকে। এজন্য লৌকিকতা জীবনে কখনো পরিপূর্ণ হয়ে উঠে না।
এমন স্বভাব পরিবেশে বুঝাপড়া জ্ঞান নিয়ে বাস করতে পারলে চিত্ত বিকশিত হয় বা তা ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়ে উঠে। পরিপক্ক চিত্ত যেখাসে সেখানে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে না। দেখামাত্র, শুনারমাত্র, জানামাত্র সন্তুষ্ট হয়ে থাকে। অতিরিক্ত চাহিদা থাকে না।
চিত্ত সমস্যা তৈরি না করলে বেশি বেশি স্বস্তিসুখ লাভ করে। কেন অশান্তিতে থাকে? চিত্ত সমস্যা তৈরি করে বলে অশান্তিতে থাকে। চিত্তকে বেশি বেশি করে জানার দরকার “চিত্তং দন্তং সুখবহং”- চিত্তকে দমন করা সুখের প্রথম ধাব। সুদক্ষ বিদগ্ধ মহৎচিত্ত সমস্যা তৈরি করে না।
সবার মনে অন্ধকার দূরীভূত হয়ে জ্ঞানের আলো প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠুক।
Comments
Post a Comment