সংসারে আমার বলে কিছু নেই।
আহা কি সংসার! নিজের জন্য কিছুই রইলো না দেশনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।
সংসার টেলিভিশনের ছবির মতঃ
সংসার না করার আগে নতুন নতুন ছবি দেখা। মধুময় কন্ঠের গান শুনা। রূপে কণ্ঠে অনুভূতির রসে ডুবে থাকতে ভাললাগা, কোন ছবির Series-কে বাদ দিতে চাহে না মন। তখন কিছুই বুঝতে চাচ্ছে না সংসার কি যে হতে চলছে সবসময় মন অস্থির থাকে প্রিয়জন যেন দূরে সরে যাবে না তো? যাইহোক যা চাই তা পায় না, পেলেও হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে এটাই সংসারের অনতিক্রম্য নিয়ম।
রেডিও গানের মত সংসারঃ
ছবি দেখতে দেখতে আর কত দেখবো মাঝে মধ্যে মনের অনীহা এসে উপস্থিত হলে আর ছবি দেখার ইচ্ছা থাকে না তখন মধুর কণ্ঠে গান শুনার অনুভুতিও অনেকাংশ কমে যাবে কারন একই সাথে ছবি দেখা ও মধুময় কণ্ঠের গান শুনার সেই আগের মত রোমাঞ্চকর থাকে না; পরিবারে সদস্য সংখ্যা ২/৩ জন বেড়ে যাবে ভাল লাগার ভাগাভাগি হয়ে যাবে। তাই সংসারের রূপরস আর কতইবা থাকবে সেই সাথে সবদিক থেকে খরা ব্যস্ততা বাড়বে।
চার্জহীন ব্যাটারীর মত সংসারঃ
২/৩ জন সদস্য বাড়ার পর ছবি দেখা, মধুর কণ্ঠের গান শুনার আর ইচ্ছা থাকবে না। সংসারের সব ব্যাটারীর চার্জ হারে হারে ফুরিয়ে যাবে; শূন্যতা হবে। এটাই কর্মশৃঙ্খল সংসারের নিয়তির নিয়ম।
“সর্ব সংস্কার অনিত্য, সর্ব সংস্কার দুঃখ ভরাডুবি ও সর্ব ধর্ম অনাত্মকে যথা প্রজ্ঞার দ্বারা দর্শন হলে নির্বিন্দ বিমুখ বিরাগ বিশুদ্ধি জ্ঞানের সর্ব সংস্কার প্রতি অনাসক্ত হয়।” সবার হিত সুখ মঙ্গল হোক।
লেখক-
স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য
ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
তারিখ-২৮ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ।
Comments
Post a Comment