প্রতিসন্ধি তত্ত্ব।
প্রতিসন্ধি তত্ত্ব আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।
গোচর রূপ-০৪, ভাবরূপ-০২,
জীবিত রূপ-০১, বস্তুরূপ-০১, আহাররূপ-০১।
মোট ১৮ টি রূপ কর্মজ নিষ্পন্নরূপ।
পরিচ্ছেদ রূপ (আকাশ রূপ)-০১, বিজ্ঞপ্তি রূপ-০২,
বিকার রূপ-০৩, লক্ষণ রূপ-০৩।
মোট ১০ টি অনিষ্পন্ন রূপ।
উপরোক্ত ১৮ টি রূপগুলো- কর্ম, চিত্ত, ঋতু, আহারের কারণে উৎপন্ন হয়। যা চ্যুতি, প্রতিসন্ধি চিত্তের সহজাত হয়ে মাতৃ গর্ভে সন্ধিক্ষণ থেকে কলল, ফেনা, রক্ত, মাংস ও পঞ্চশাখা অঙ্গ পূর্ণকাল পর্যন্ত ১৮টি নিষ্পন্নরূপ গঠন প্রবাহ হয় তা উপচয় রূপ। গর্ভে অঙ্গ পূর্ণকাল থেকে অনিষ্পন্ন রূপ ১০ টি প্রসব সময় পর্যন্ত প্রবাহ হয়।
উপচয়+সন্ততি উভয় রূপকে (জাতি বা জন্ম রূপ ) বলে। জন্মের পর থেকে মরণের পর্যন্ত জড়তা, অনিত্যতার মধ্যে সংস্কার জীবন প্রবাহ পরিসমাপ্ত হয়।
ইহা রূপের প্রকৃতির নিয়ম। কর্ম, চিত্ত, ঋতু ও আহারের কারণে রূপ উৎপন্ন হয় অসমাপক তেজধাতুর কারণে অনিত্যতা প্রাপ্ত হতে হয়।
তেজতাপ সংস্কারের কারণে রূপ উদয় ও বিলয় হয় এতে প্রমাণ মিলে যে অনিত্য, দুঃখ, অনাত্ম লক্ষণ। এ ত্রি-লক্ষণ জ্ঞান লাভ হলে সমস্ত মিথ্যাদৃষ্টি অন্ধের বিশ্বাস পরিসমাপ্ত হয়ে কর্মচক্ষু, জ্ঞান চক্ষু, প্রজ্ঞাচক্ষু, বিদ্যা চক্ষু ও আলোক চক্ষু দ্বারা সংশয় মুক্ত স্রোতাপত্তি নির্বান লাভ হয়।
লেখক-
স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য
ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।তারিখ-১৭ জুন ২০২১খ্রিঃ।
Comments
Post a Comment