সর্বোত্তম পুণ্যকর্ম হল অপ্রমাদ।
সর্বোত্তম পুণ্যকর্ম হল অপ্রমাদ আলোচনায় ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়। বৌদ্ধধর্মীয় বিষয়।
দুর্লভ মানব জন্মে দুর্লভ পুণ্যকর্ম করা সর্বোত্তম পুণ্যকর্ম। সব পুণ্যই সর্বোত্তম হয় ধর্মতঃ হলে-
দানকর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুণ্যকর্ম যা এ পুণ্যকর্ম না থাকলে দরিদ্র সীমায় বাস করতে হয়, দেহঘরকে টিকে রাখা প্রচুর কষ্টের শিকার হয়। তাই অবশ্যই এ কর্ম করে রাখা দরকার। শীলকর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুণ্যকর্ম যা প্রতিপালন না করলে রোগাগ্রস্ত হয় তদুপরি মনুষত্বও থাকে না তাই ভালো মানুষ, মনুষত্ব, সাধুসজ্জন হবার জন্যে অবশ্যই অবশ্যই শীলকর্ম পূরণ করে নিতে হয়।
অভাব না থাকা, নিরোগী হবার জন্যে অতীব গুরুত্ব সহকারে দান পুণ্যকর্ম, শীল প্রতিপালন পুণ্যকর্ম করা উচিত। যে কোন জিনিসকে গুরুত্ব না দিলে, যত্ন না করলে টিকে কম। তাই দানশীল পুণ্যকর্মকে গুরুত্ব সহকারে সম্পাদন করা।
সমথ ভাবনাও করতে হয়। সমথ ভাবনা না করলে মন স্থির থাকে না। কায়িক মানসিক সুখ শান্তিতে থাকার জন্যে মৈত্রী ভাবনা, আনাপান ভাবনা, অনুস্মৃতি ইত্যাদি ভাবনা করা প্রয়োজন।
বিদর্শন ভাবনাও করতে হয়। এ জীবন দুর্লভ, এ ধর্ম সাক্ষাতও অতি দুর্লভ, জীবন ও ধর্ম দুর্লভের দুর্লভ সাক্ষাতের সুযোগে বিদর্শন কর্মস্থান ভাবনাকর্ম করা অত্যন্ত জরুরী কুশলকর্ম কারণ বিদর্শন ভাবনা বিনে নির্বানকে প্রত্যক্ষ করা অসম্ভব। তাই নাম-রূপের স্বভাব উদয়ব্যয়কে তথা অনিত্য-দুঃখ-অনাত্ম লক্ষণ গুলোকে দর্শন করা এখনই বিমুক্তি সময়।
সবচেয়ে সর্বোত্তম পুণ্যকর্ম হল "অপ্রমাদ ধর্ম" এ অপ্রমাদ অমৃতপদ স্মৃতিধর্মকে সদা নিজের মনের সাথে রাখা। সবার হিত সুখ মঙ্গল হোক।
লেখক-
স্বধর্ম দেশক, বিদর্শন আচার্য
ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ থের মহোদয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
Comments
Post a Comment