একটি লাশের আত্মকাহিনী।
একটি লাশের আত্মকাহিনী।
কিন্তু এ যেন শুধু নিছক এক মামলা। মামলার বাদী বা অন্য কারো কোন আগ্রহ নেই এই মামলা নিয়ে। তবে কি দায় শুধুই পুলিশের? হ্যাঁ, অধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আমাদের প্রধানতম দায়িত্ব। হোক সে রাস্তার ভিখারী কিংবা কোটিপতি পিতার বখাটে পুত্র। আর সেই দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশ সদা সচেষ্ট।
মামলায় নেই কোন সাক্ষী-প্রমাণ। নেই কোন ক্লু। তাই বলে তো আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আর কেউ কিছু না চাইলেও পাঁচ বছরের ছোট্ট আবরার এর দুটো নিষ্পাপ চোখতো আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। আমাকে ও আমাদেরকে ঘুমাতে দেয়না। বিভিন্ন পুলিশিং কলাকৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ আসামী সনাক্ত করতে সক্ষম হলেও আসামী যেন এক অমাবস্যার চাঁদ।
ডিসি (বন্দর) স্যার ও এডিসি (বন্দর) স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং এসি (বন্দর) স্যারের তত্ত্বাবধানে ওসি স্যার ও আমার নেতৃত্বে ইপিজেড থানার এসআই(নিঃ) শেখ তারিকুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসআই(নিঃ) আবু সাঈদ, এএসআই(নিঃ) ইসমাইল, কনস্টেবল/ উজ্বল মল্লিক ও কনস্টেবল/ সাহিদুল ইসলামদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস টিমের দীর্ঘ দুই মাসের প্রচেষ্টা।
ধূর্ত আসামী জলিলের ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন। ঢাকা, চাঁদপুর, নীলফামারী, বরিশাল একের পর এক ব্যর্থ অভিযান। তারপরেও হাল ছাড়িনি আমরা। অবশেষে খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকায় টিম ইপিজেড এর নিকট হার মানল আসামি জলিল। ধরা পড়ল টিম ইপিজেড এর জালে। বিজ্ঞ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় সে।
শুকরিয়া জানাই পরম করুণাময় মহান আল্লাহর কাছে নিষ্পাপ শিশু আবরারের মায়ের হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য। হয়তোবা নিষ্পাপ শিশু আবরারের চোখ দুটি রাত্রিকালীন আমাদেরকে আর তাড়া করবেনা। পাশাপাশি শান্তি পাবে নিহতের আত্মা। অশেষ কৃতজ্ঞতা ডিসি (বন্দর), এডিসি (বন্দর) ও এসি (বন্দর) স্যারদের প্রতি। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন অফিসার ইনচার্জ ও চৌকস টিম ইপিজেডকে।
লেখক-
Comments
Post a Comment